দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইরানের ছ’টি সামরিক বিমানবন্দরে পাল্টা ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল (Israel)। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, এই হামলায় তারা ইরানের (Iran) অন্তত ১৫টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে। যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে রয়েছে এফ-১৪, এফ-৫ এবং এআইচ-১ মডেলের বিমান ও হেলিকপ্টার (Iran Israel War)।
আইডিএফ-এর দাবি, ইরান এই বিমানগুলিই ইজরায়েলের আকাশে হামলা ও অভিযান ঠেকাতে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। হামলায় ধ্বংস হয়েছে বিমানঘাঁটির রানওয়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিও।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে ইজরায়েলের মদতে আমেরিকার হামলার পর পশ্চিম এশিয়ায় ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি। তার জেরেই সোমবার তীব্র ধস নামল এশিয়ার শেয়ার বাজারে। তেলের দাম ছুঁয়েছে গত পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ সীমা। বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের চোখ এখন তেহরানের প্রতিক্রিয়ার দিকে।
ইরান বিশ্বের নবম বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ। দিনে প্রায় ৩৩ লক্ষ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে তেহরান, যার অর্ধেক রফতানি হয়, বাকি যায় দেশের ঘরোয়া চাহিদা মেটাতে। ফলে, ইরান যদি আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার পথে যায়, তা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে আমেরিকার বিমানহানার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই। গোটা ঘটনাকে ‘বেপরোয়া উসকানি’ বলে আখ্যা দিয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, 'শত্রুরা কঠিন ও চূড়ান্ত শাস্তি পাবে।' সরাসরি আমেরিকা ও ইজরায়েলকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, 'বড় ভুল করেছে, এ অপরাধ বিরাট! শাস্তি পেতেই হবে এবং শাস্তি দেওয়ার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।'
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার (US attacks Iran) পর মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা এখন যারপরনাই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মার্কিন বিমান সংস্থাগুলোর জন্য ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারণ, শুক্রবার মধ্যরাতে মার্কিন হামলার পর শনিবার সকালে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। ইরানের সরকারি টেলিভিশনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মার্কিন নাগরিক এখন তাদের টার্গেট।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাত্র এক দিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের 'নোবেল পিস' প্রাইজের জন্য মনোনিত করেছিল পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময়ে তাঁর ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ’ এবং ‘দূরদর্শী নেতৃত্বের’ প্রশংসা করে ইসলামাবাদের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু রবিবারই আমেরিকা ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানোর পর পুরো পাল্টে গেল তারা।
ইসলামাবাদের বিদেশ মন্ত্রক রবিবার একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা ইরানের বিরুদ্ধে হওয়া এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করছে। আন্তর্জাতিক আইনের সমস্ত রীতিনীতিকে লঙ্ঘন করেছে এই হামলা। আত্মরক্ষার অধিকার ইরানের রয়েছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন সেনা ইরানের তিন পরমাণু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে (3 key Iranian nuclear sites) দেওয়ার পর ইরান জানায়, এটা অপূরণীয় ক্ষতি নয়। আর এবার ঘটনার প্রত্যাঘাত স্বরূপ পাল্টা রবিবার সকালে ইজরায়েলে হামলা চালাল তেহরান (New strikes on Israel)। সংবাদ সংস্থা ও ইজরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাইফা ও তেল আভিভে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। একসঙ্গে দু’দফায় মোট ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র পৌঁছেছে ইজরায়েলের এই দুই শহরের দিকে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তেহরানের আকাশে আমেরিকার যুদ্ধবিমান। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে রবিবার ভোরে পর পর ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র, ফোর্ডো, নাতান্জ এবং ইসফাহান কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। ঘটনার কথা ভারতীয় সময় ভোত সাড়ে ৫টা নাগাদ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। প্রথমবারের জন্য ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করায় গোটা পশ্চিম এশিয়ায় ছড়িয়েছে যুদ্ধের আশঙ্কা। যদিও হামলার পর শান্তির বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইরান ও ইজরায়েলের সংঘাতের (Iran-Israel Conflict) আবহে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই (Iran's Supreme Leader Ayatollah Ali Khamenei) এক চরম পদক্ষেপ নিলেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, প্রাণনাশের আশঙ্কায় খামেনেই তিন জন শীর্ষস্থানীয় ধর্মগুরুর নাম প্রস্তাব করেছেন, যারা তাঁর মৃত্যুর পরে উত্তরসুরী হিসেবে নেতৃত্বে আসতে পারেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সেই তালিকায় তাঁর ছেলেরই নাম নেই বলে খবর। যা নিয়ে সব মহলে কৌতূহল তুঙ্গে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইরান ও ইজরায়েলের সংঘর্ষ (Iran-Israel Conflict) বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সংঘাতের জেরে ইজরায়েলের আকাশে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বিস্ফোরণের শব্দ আর বিপদ সংকেত - এই সবকিছুর মধ্যে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকরা। হঠাৎ মাঝরাতে সাইরেন বেজে ওঠা, বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়া, কিংবা আতঙ্কে ঘুম হারিয়ে ফেলা- এই সমস্ত অভিজ্ঞতা এখন তাঁদের জীবনের অংশ।