অপেক্ষার প্রহর প্রায় শেষ প্রান্তে। আর কয়েক ঘণ্টা পরই গোটা ক্রিকেট বিশ্ব জেনে যাবে, কে হল আইপিএল ২০২৫-এর চ্যাম্পিয়ন (IPL 2025 Champion)। ফাইনালে মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস (RCB vs PBKS
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুরুটা নড়বড়ে ছিল। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে গলান রজত পাটিদার (Rajat Patidar)। কিন্তু সেভাবে আত্মবিশ্বাস ছলকে ওঠেনি। তারপর ধীরে ধীরে জমি ফিরে পেলেন যেই, আর পেছন ঘুরে তাকানোর প্রয়োজন পড়ল না!
কীভাবে দলের সাধারণ সদস্য থেকে নেতৃত্বের রাশ নিজের হাতে পাকাপাকিভাবে টেনে নিলেন রজত—সেটা আরসিবি (RCB) শিবিরের আগে নিজের চোখে দেখেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত (Chandrakant Pandit)। হালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হেড কোচ। কিন্তু গত মরশুমেও মধ্যপ্রদেশ রাজ্য টিমের কুর্সিতে ছিলেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদে (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের (Narendra Modi Stadium) বাইরে দুটো কাট আউট ঝুলছে। একটা শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer)। অন্যটা রজত পাটিদারের (Rajat Patidar)।
বাইরে এক বিক্রেতা পাঞ্জাব (PBKS), আরসিবির (RCB) জার্সি বিক্রি করছেন। বেছে বেছে কোহলির (Virat Kohli) ১৮ নম্বর জার্সি কিনে দাম মেটানোর ফাঁকে এক ‘ভক্ত’ ভুরু কুঁচকে মোক্ষম সওয়াল ছুড়ে দিলেন: ‘ওই কাট আউটের খেলোয়াড় কে? নাম কী?’
গেটের বাইরে দাঁড়ানো ওই বিক্রতা প্রশ্ন শুনে ততোধিক তাজ্জব। একরাশ বিরক্তি মিশিয়ে বলে ফেলেন, ‘আপনি যে দলের জার্সি কিনলেন, তার অধিনায়ক মশাই… নাম রজত পাটিদার!’
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একজন ক্রিকেটারের অমরত্বলাভের জন্য জমকালো ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ঠিক কোন কোন খেতাব অর্জন জরুরি?
আর সবার কাছে জবাবটা ‘বিশ্বকাপ’ হলেও বিরাট কোহলির (Virat Kohli) কাছে আপাতত আইপিএল-ই (IPL) পরম মোক্ষ। উইশ লিস্টের সমস্ত বক্সে ‘টিক’ পরে গিয়েছে। বাকি একটাই—আইপিএল। এই ট্রফি হাতে উঠলেই বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সফল খেলোয়াড় হিসেবে নিজের নাম চিরতরে খোদাই করে ফেলবেন বিরাট।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেটাও ছিল টি-২০ ফাইনাল। মুখোমুখি সেই শ্রেয়স আইয়ার-রজত পাটিদার!
শুধু দ্বৈরথ-মঞ্চের নাম আলাদা। দলের নামেও গুরুতর বদল!
এ বছর আইপিএল ফাইনালে যেমন যুযুধান দুজনে, গত বছরও তাঁরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অন্তিম লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তবে আইপিএল নয়, লড়াই ছিল সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে। শ্রেয়স অধিনায়কত্ব করছিলেন মুম্বইয়ের। অন্যদিকে রজত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের নেতৃত্বে।
চলতি মরশুমে কেল্লাফতে হওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকেরা। ১৮ নম্বর জার্সির বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তাঁর ১৮তম সিজনে আইপিএল ট্রফি হাতে তুলবেন—এমন খোয়াব দেশের তামাম বিরাট-ভক্ত দেখতে শুরু করেছেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুকে জমছে খিদে। চোখে জ্বলছে আগুন। আর এই দুইয়ের মিশেলে বাইশ গজে বারুদ হয়ে ফেটে পড়েছেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)! অন্তত এমনটাই মত পাঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) হেড কোচ রিকি পন্টিংয়ের (Ricky Ponting)।
পাঞ্জাবকে ১১ বছর পর প্লে-অফে তোলার কৃতিত্ব যদি সবচেয়ে বেশি কারও হয়ে থাকে, তিনি দলের অধিনায়ক শ্রেয়স। গত বছর ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে (KKR)। টিমকে খেতাব জেতান। প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি পাননি। তাই নিলামে নামেন। পাঞ্জাব প্রায় ২৬ কোটি টাকায় তাঁকে কিনে নেয়। দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেয়।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের বোর্ডকে (BCCI) তোপ দাগলেন বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Bengal Sports Minister Arup Biswas) । কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens, Kolkata) থেকে আইপিএল২০২৫ -এর (IPL 2025) এলিমিনেটর-২ ও ফাইনাল (Eliminator-2 & Final) সরিয়ে নেওয়ার পেছনে যে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে, তা এদিন তিনি ফের স্পষ্ট করে দিলেন।
আসলে হঠাৎ করেই আইপিএলের ফাইনাল ও দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচ কলকাতা থেকে সরিয়ে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নিয়ে গিয়েছিল বিসিসিআই। কারণ হিসাবে জানিয়েছিল, জুন মাসের প্রথম দিকে নাকি কলকাতায় প্রবল বৃষ্টি হবে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টস সবেমাত্র শেষ হল। জিতল পাঞ্জাব। টসে জিতে পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন। কারণ? জিজ্ঞেস করতে শ্রেয়স যুক্তি দিলেন আবহাওয়ার। মেঘলা আকাশ। বৃষ্টি নামতে পারে ম্যাচের যে কোনও মহূর্তে। তখন রান তাড়া করা মানেই বাড়তি অ্যাডভান্টেজ।
#REL
দুই দল টসের পর নিজেদের ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে মাঠে নামার। এমন সময় বৃষ্টি নামল ঝেঁপে। মেঘভাঙা বর্ষণ। থামার কোনও লক্ষণ নেই। আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টা কেটে গেল। কিন্তু পরিস্থিতির এতটুকু উন্নতি হল না।