গার্গী দাস
গড়িয়াহাটে যাতায়াতটা বহু ছোট থেকে। অলিগলি এক্কেবারে ঘেঁটে ফেলা। আগে সিগন্যাল থেকে সোজা লেকে গিয়ে আড্ডা জমানো ছিল নেশা, পরে তা পাল্টে যায়। লেকের জলে হাওয়া খেলতে দেখা বা পাখিদের ঝগড়া, শিকার, ঘরে ফেরা দেখা ভাল লাগতে থাকে। আরও কিছুটা বয়স ও ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গড়িয়াহাট চত্বরই হয়ে ওঠে সবচেয়ে আপন। যখনই মন খারাপ হয়েছে, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির আশপাশ বা নবনীতা দেবসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় হেঁটেছি। কলকাতার পুরনো বাড়ি দেখেছি, লোকজন দেখেছি, ক্যাফে গড়ে উঠতে দেখেছি, তারাও আমায় দুহাত ভরে আপন করে নিয়েছে।