দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল (India Women’s Cricket Team) ইতিহাস গড়েছে বিশ্বকাপে (Women’s World Cup 2025)। আর সেই ঐতিহাসিক সাফল্যে এখনও মুগ্ধ রবিচন্দ্র অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হয়েও জায়গা মিলল না সেরা একাদশে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের (Women’s World Cup 2025) সেরা দলে (Team of the Tournament) নাম নেই ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur)। মঙ্গলবার প্রকাশিত আইসিসির (ICC) তালিকায় জায়গা পেয়েছেন মোট তিন ভারতীয় ক্রিকেটার—স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana), জেমাইমা রদ্রিগেজ (Jemimah Rodrigues) এবং দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বকাপজয়ের (Women’s World Cup 2025) সুবাদে অনেক স্টিরিওটাইপ আর আগল ভেঙেছেন হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানারা। লড়াই শেষে মাঠের বাইরেও নয়া ট্রেন্ড সেট করল প্রমীলা ব্রিগেড! দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) হারিয়ে প্রথমবার ওডিআই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়েছে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। বিজ্ঞাপন দুনিয়া এখন কার্যত হরমন–জেমাইমা–স্মৃতি জ্বরে আক্রান্ত।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাত গড়িয়েছে অনেকটা। ঘড়িতে ১২টা বাজতেই ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম (DY Patil Stadium) গর্জে উঠল। ক্যাচ ধরলেন হারমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। সাদা বল তাঁর মুঠোয় আসতেই শেষ হল অর্ধশতকের অপেক্ষা। ভারত জিতল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ (Women’s ODI World Cup 2025)। ইতিহাস লেখা হল নতুন করে। আর সেই মুহূর্তেই দেখা গেল এক আবেগঘন দৃশ্য—হারমন দৌড়ে গিয়ে মাথা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন কোচ অমল মুজুমদারকে (Amol Muzumdar)। তারপর আলিঙ্গন। বোঝা গেল, ভারতের এই জয়ের আড়ালে লুকিয়ে এক সেনাপতির নীরব ছোঁয়া।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রিজার্ভ ট্রেনের কামরায় ঠেসাঠেসি করে যাত্রা। কাঁধে কিট ব্যাগ। অনেক সময় নিজের টাকায় ব্যাট-বল কেনা, নিজেই ইউনিফর্ম ধোওয়া। গ্যালারিতে হাতেগোনা দর্শক, সংবাদপত্রে এক কলমও খবর নয়। এভাবেই শুরু দেশের মেয়েদের (Women’s Cricket in India) পথচলা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবার রাতটা ছিল ইতিহাসের, সোমবার সকালটা প্রতীকী।
বিশ্বকাপ জয়ের (Women’s World Cup 2025) পরদিন সকালে নিজের ইনস্টাগ্রামে এক ছবি পোস্ট করলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। বিছানায় বিশ্বকাপ ট্রফি (World Cup Trophy) পাশে নিয়ে শুয়ে আছেন। দেখতে সাদামাটা। কিন্তু নজর কাড়ল তাঁর টি–শার্টে লেখা বার্তা—‘ক্রিকেট সবার খেলা’ (‘Cricket is everyone’s game’)। উপরে লাইন দিয়ে কাটা ‘আ জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দবন্ধ!
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২১ বছর বয়সি শেফালি বর্মা (Shafali Verma) আর তাঁর সহযোদ্ধারা যা করে দেখালেন, তা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় খুলে দিল। নবি মুম্বইয়ের (Navi Mumbai) ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে (DY Patil Stadium) দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে প্রথমবারের মতো মহিলা ওডিআই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করলেন। ম্যাচের সেরা (Player of the Match) নির্বাচিত হয়েছেন শেফালি। আর সেই জয়ের পরই জানালেন, প্রেরণার কথা... তাঁর নাম সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কখনও কাঠ কেটেছেন, ভাঙা আসবাব জোড়া দিয়েছেন। আজও হাতের গাঁটে চেরাইয়ের চিহ্ন। একদিন কাঠ কেটে তৈরি করেছিলেন ব্যাট। মেয়ের আবদারে, রাত জেগে। আর সেই ব্যাট নিয়েই ছোট্ট অমনজ্যোৎ কৌর (Amanjot Kaur) শুরু করেন তাঁর ক্রিকেট–জীবন। বহু বছর পরে, সেই বাবার চোখে জল—গর্বের, আনন্দের, স্বপ্নপূরণের!
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের মেয়েদের বিশ্বকাপ (Women’s ODI World Cup 2025) জয়ের পর পুরোনো ক্ষত আবার জেগে উঠেছে। ডায়ানা এডুলজির (Diana Edulji) ২০১৭ সালের সেই অভিযোগ—‘এন শ্রীনিবাসন (N Srinivasan) বলেছিলেন, আমার হাতে থাকলে আমি মেয়েদের ক্রিকেটই হতে দিতাম না’—ফের ঘুরেফিরে আলোচনায়।
৫২ বছর আগে প্রথম মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপ (Women’s ODI World Cup 1973); ৫২ বছর পরে ভারত প্রথমবার ট্রফি জিতল; আর ঠিক ‘৫২’ রানের ব্যবধানেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) হারাল—সংখ্যার এই সাঙ্কেতিক জবাব যেন কেবল প্রতিপক্ষকে নয়, নারী-ক্রিকেট-বিরোধী মনস্তত্ত্বকেও বর্শার ফলায় বিঁধল!
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নবি মুম্বইয়ের (Navi Mumbai) ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল (India Women’s Cricket Team)। দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa Women’s Team) হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের ওডিআই বিশ্বকাপ (Women’s ODI World Cup 2025) জিতেছে ভারত। হরমনপ্রীত কৌরদের (Harmanpreet Kaur) এই জয়ে সূচনা হল এক নতুন অধ্যায়ের—যেখানে ১৬ জন খেলোয়াড় মিলে গড়েছেন এক স্বপ্নের সাম্রাজ্য।
এক নজরে দেখে নিন, এই বিশ্বজয়ের গল্পে কার কেমন পারফরম্যান্স।