বহু প্রতীক্ষার অবসান। মুক্তি পেয়েছে অনুরাগ বসুর নতুন ছবি ‘মেট্রো ইন দিনো’। তবে ছবি রিলিজ মানেই বিশ্রাম, আয়েশ আর একটু নিঃশ্বাস নেওয়া—এ কথা অনুরাগের অভিধানে নেই। বরং শুরু হয়েছে নতুন দৌড়ঝাঁপ। কখনও মুম্বই, কখনও পুনে, তো কখনও অন্য শহর—নিজের ছবিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিচালক। এতটাই ব্যস্ত তিনি, যে ফোনে কথা বলার মাঝেও নেটওয়ার্ক বারবার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তবুও পর্দার মতোই বাস্তবেও তাঁর মনোযোগী ভাব, হালকা হাসিতে বোঝালেন, “চিন্তার কিছু নেই, কাজ নিয়েই টেনশন... একজন ফিল্মমেকার জানেন, সিনেমা মুক্তির আগে কতটা দৌড়ঝাঁপ করতে হয়।”
গতকাল মুক্তি পেয়েছে অনুরাগ বসুর বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘মেট্রো ইন দিনো’। কিন্তু সিনেমা রিলিজ মানেই বিশ্রাম নয় তাঁর কাছে—বরং শুরু এক নতুন ছুটে চলা। কখনও মুম্বই, কখনও পুনে—শহর থেকে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিজের ছবিকে নিয়ে। ব্যস্ততা এতটাই যে, ফোনে ধরার ফাঁকেও বারবার নেটওয়ার্কের টানাপড়েন! তবুও পর্দার গল্পের মতোই মনোযোগ দিয়ে কথা বললেন, হালকা হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, ‘চিন্তা নয়, কাজ নিয়েই… একজন ফিল্মমেকার জানেন সিনেমা রিলিজের আগে ঠিক কতটা টেনশন থাকে। কত কাজ থাকে।’
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বছরটা ২০০৭। অনুরাগ বসু পরিচালিত ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ একরাশ ভাঙাগড়া, একাকীত্ব, প্রেম আর বাস্তবতাকে একসঙ্গে পর্দায় এনে ফেলেছিল। শহুরে জীবনের ভিড়ের মাঝেও কীভাবে সম্পর্ক টিকে থাকে কিংবা ভেঙে পড়ে—তা ছুঁয়ে গিয়েছিল অগণিত দর্শকের হৃদয়। আর ঠিক ২০ বছর পর, সেই ছবির সিক্যুয়েল নিয়ে আবার ফিরছেন অনুরাগ—‘মেট্রো ইন দিনো’।
কিন্তু জানেন কি, এই সিনেমার ভাবনাটাই আসলে জন্ম নিয়েছিল একজনের মুখে বলা এক অদ্ভুত, হালকা কথায়? তিনি আর কেউ নন—ইরফান খান।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০০৭ সালে অনুরাগ বসুর ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ ছিল এক আশ্চর্য অনুভব—যেখানে শহরের ব্যস্ত জীবনে আটকে থাকা কিছু মানুষের সম্পর্কের জট ছুঁয়ে গিয়েছিল অনেক হৃদয়। সেই ছবির আবহকে বুকে জড়িয়ে, আবার বড়পর্দায় আসছে নতুন অধ্যায়—‘মেট্রো ইন দিনো’। সম্প্রতি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে এই ছবির ট্রেলার। ট্রেলারে যেন ধরা দিয়েছে প্রেম, ভুল বোঝাবুঝি, ভাঙন আর নতুন করে জোড়া লাগার গল্প।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সপ্তাহান্তে বলিউডপাড়া রীতিমতো সরগরম। শ্রীলীলার একটি নতুন ছবির ঝলকে অনুরাগীরা ও বলিউডের অন্দরমহল—দুই জায়গাতেই প্রশ্ন উঠেছে, অভিনেত্রী কি বিয়ের সাজে সেজেছেন? এবং তা কি কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গেই? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্নে তোলপাড় গোটা নেটপাড়া।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, শ্রীলীলার গায়ে হলুদ দেওয়া হচ্ছে। পাত্র-পাত্রী না জানা গেলেও ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। কোথাও তিনি ফুল দিয়ে সেজেছেন, কোথাও কপালে লাল টিপ, আবার একটি ছবিতে স্পষ্ট সিঁথিতে সিঁদুরও দেখা গিয়েছে—যা দেখে চমকে গিয়েছেন অনুরাগীরা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ আজও শহুরে প্রেমের সুরে জড়ানো এক মাইলফলক সিনেমা। অনুরাগ বসুর নির্মাণ, একাধিক গল্পের গাঁথুনি, আর বাস্তবের ছোঁয়ায় মোড়া ভালবাসা আজও সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। সেই স্মৃতির পথ ধরে এবার আসছে ‘মেট্রো...ইন দিনো’। মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার, আর সদ্য প্রকাশ্যে এল ছবির প্রথম গান—‘জামানা লাগে’।
মুম্বইয়ের এক ক্যাফেতে বুধ সন্ধ্যায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গানটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। উপস্থিত ছিলেন ছবির কলাকুশলীরা। তবে উৎসবের মাঝে হঠাৎই যেন থেমে গেল সবকিছু—যখন কঙ্কনা সেন শর্মা ভেঙে পড়লেন কান্নায়।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনিমেষ বাপুলি, কাস্টিং ডিরেক্টর। ছবির চরিত্রের সঙ্গে উপযুক্ত অভিনেতাদের নির্বাচনের দায়িত্ব থাকে তাঁর উপরে। বাংলা ছবি ছাড়াও একাধিক হিন্দি ছবিতে কাস্টিং করেছে। তবে অনুরাগ বসুর নতুন ছবি ‘মেট্রো ইন দিনো’তে শুধু কাস্টিংয়েই থেমে থাকেনি তাঁর প্রতিভা। কাস্টিং করতে গিয়ে কখন যে অনিমেষ নিজেই ছবির একজন অভিনেতা হয়ে উঠছেন বুঝতে পারেননি। তবে ওঁর কাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে, নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন না অনুরাগ। ছিলেন তাঁর স্ত্রী তানি বসু।