নরওয়েতে হারের ক্ষত এখনও দগদগে। এরই মধ্যে জাগরেবে অনুষ্ঠিত হল গ্র্যান্ড চেস টুর্নামেন্ট; আরও একবার কপালে জুটল চপেটাঘাত। দাবার জগতে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে: ম্যাগনাসের এই ভরাডুবি কি এক নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত দিচ্ছে?
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্রোয়েশিয়ার র্যাপিড অ্যান্ড ব্লিৎজ টুর্নামেন্টের র্যাপিড বিভাগ জিতে দাবা দুনিয়ার চর্চায় ডি. গুকেশ। তার চেয়েও বেশি করে আলোচনায় বিশ্বের পয়লা নম্বর দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেনকে দু’বার ঘোল খাওয়ানোয়।
নরওয়েতে এক মাস আগেও একইভাবে কিস্তিমাত দেন গুকেশ। কিন্তু সেবার লড়াইটা ছিল ক্লাসিক্যাল বোর্ডে, এবার র্যাপিডে। তার উপর মাথায় ঘুরছিল প্রতিপক্ষ কার্লসেনের করা কটাক্ষ—‘গুকেশ মোটেও শক্তিশালী দাবাড়ু নয়। বেশ দুর্বল!’
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একমাসও হয়নি। নরওয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ডি গুকেশের কাছে হেরে রাগের বশে টেবিল চাপড়েছিলেন দুনিয়ার এক নম্বর দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেন। সেটা ছিল ক্লাসিক্যাল দাবা। এবার ব্লিৎজেও তিনি একইভাবে কুপোকাত হলেন। হারালেন সেই গুকেশ। তবে এবার টেবিল থাবড়ালেন না, উত্তেজিত হ্যান্ডশেকও সারলেন না। বদলে দাঁড় করালেন অজুহাত। জানালেন, দাবা বস্তুটাই আর উপভোগ করছেন না তিনি। প্রতিযোগিতার উত্তেজনা হারিয়ে ফেলছেন!
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দাবার যা কিছু সমৃদ্ধি, বিকাশ—সব দক্ষিণে। উত্তর ভারত প্রচ্ছায়ায় ঢাকা।ভারতের দাবা সংস্কৃতি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন বন্তিকা আগরওয়াল। গত বছর চেজ অলিম্পিয়াডে জোড়া সোনার মেডেলজয়ী তরুণী দাবাড়ু। পেয়েছেন অর্জুন পদকের শিরোপাও। বছর তেইশের বন্তিকা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দাবা নিয়ে সাধারণ মানুষদের উন্মাদনা ও নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের নিয়ে বলতে গিয়ে দেশের দুই বৃত্তের আড়াআড়ি বিভাজন নিয়ে মন্তব্য করেন।
প্রথম গল্পটা সকলের জানা। নরওয়ে দাবা প্রতিযোগিতায় ম্যাগনাস কার্লসেনকে অপ্রত্যাশিত কায়দায় কিস্তিমাত করলেন ডি গুকেশ। তারপর পরাজয় মেনে নিতে না পারা দুনিয়ার এক নম্বর দাবাড়ু, যিনি ক্লাসিক্যাল চেজে কার্যত ‘অপরাজেয়’, বিজয়ী প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাল্কা করমর্দন করেই ‘ওহ মাই গড’ বলে টেবিল চাপড়ে উঠে গেলেন। ছিটকে মাটিতে গড়াল খানকয়েক গুটি। গুকেশও যেন এই জয় বিশ্বাস করতে পারছেন না! মুখে হাত দিয়ে শুরু করলেন পায়চারি।
‘বোর্ডের যা অবস্থা দাঁড়ায় তাতে ১০০ বারের মধ্যে ৯৯ বারই আমার হারার কথা! কিন্তু আজ ভাগ্য সঙ্গে ছিল।’
নরওয়ের আন্তর্জাতিক দাবায় প্রাক্তন বিশ্বসেরা ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এভাবেই নিজের জয় ব্যাখ্যা করেন ডি গুকেশ। সদ্য আঠারোয় পা রাখা দাবা-প্রতিভা এর আগে প্রতিবার কার্লসেনের কাছে হেরেছেন। এবার জিতলেন। জিতে পয়মন্ত ভাগ্যের কথা টানলেন।
‘দিওয়ার’ চলচ্চিত্রের কালজয়ী সংলাপ। বিভিন্ন প্রসঙ্গ, অনুষঙ্গে এই একটি মাত্র উক্তি ফিরে ফিরে এসেছে। ভারতের খেলার দুনিয়ায়—শুধু ক্রিকেট নয়, তথাকথিত ‘উপেক্ষিত’ স্কোয়াশ, ব্যাডমিন্টন, মিক্সড মার্শাল আর্টস সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে চর্চায় উঠে এসেছে, তাতে ফের একবার নতুন করে খেলোয়াড়দের বেড়ে ওঠা, সাফল্যের শিখরে ওঠার আড়ালে মায়ের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথাবার্তা, আলোচনা, বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।