দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে ককপিট থেকে ভেসে এসেছিল শেষ বার্তা— "মে ডে, মে ডে… নো পাওয়ার নো থ্রাস্ট, গোয়িং ডাউন…" তারপরই আছড়ে পড়ে বিমান, জানিয়ে দিল বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Aviation Ministry On Ahmedabad Air Crash)। জানিয়েছে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের স্ক্রিনে তখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেই সঙ্কেত। আন্তর্জাতিক উড়ান বিধিতে এই সঙ্কেতই জানিয়ে দেয়, বিমান ভয়াবহ বিপদের মধ্যে রয়েছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একবার নয়, পরপর দু’বার সফরের দিন বদল করেছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি (Gujarat Ex CM Vijay Rupani)। শেষমেশ ১২ জুন আমদাবাদের সেই অভিশপ্ত বিমানে (Ahmedabad Plane Crash) উঠেছিলেন তিনি। সেই বিমানই টেক-অফ করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় ২৪১ জন যাত্রীর, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রুপানিও।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক বুক স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন পায়েল খটিক (Payel Khatik)। গুজরাতের (Gujarat) হিমতনগরের এক শ্রমজীবী পরিবারের এই তরুণী বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমবারের মতো বিদেশে যাচ্ছিলেন—গন্তব্য লন্ডন। উদ্দেশ্য, এমটেক পড়া। কিন্তু আকাশ ছোঁয়ার আগেই আকাশ ভেঙে পড়ল, আচমকা... সব শেষ।
আমদাবাদ বিমানবন্দর (Ahmedabad Plane Crash) থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমান। ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। পায়েলও তাঁদেরই একজন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁদের কাছে ১২ জুন অন্যান্য দিনের মতোই ছিল। আবার একটা ফ্লাইট, আবার একটা লং জার্নি। এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-এর (Air India Boeing Dreamliner 787-8) পাইলট, ক্রু সদস্যরা তাই রোজকারের মতোই তৈরি হয়েছিল লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য। কিন্তু কে জানত, এটাই তাঁদের জীবনের শেষ ফ্লাইট জার্নি হতে চলেছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শনিবার সকাল। আমদাবাদের (Ahmedabad Plane Crash) দুর্ঘটনাস্থলে এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ স্থানীয় অনেকে। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে ওই ধ্বংসস্তুপ থেকে নতুন করে কয়েকটি দেহ পাওয়া গিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিমানের ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনার অভিঘাতে মেডিক্যালের পড়ুয়া এবং স্থানীয় অনেকের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল। গুজরাত পুলিশের তরফে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৬৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল।
দ্য ওয়াল ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির (Vijay Rupani) বিমান দুর্ঘটনায় (Plane Crash) মৃত্যু ফের মনে করিয়ে দিল ইতিহাসের এক দুঃখজনক অধ্যায়। পাকিস্তানের গুলিতে বলবন্তরাই মেহতার (Balwantrai Mehta) বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনার কথা। প্রায় ছ’দশক আগে, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় প্রাণ হারান গুজরাতের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বলবন্তরাই মেহতা। এবার সেই ইতিহাসের যেন প্রতিধ্বনি হয়ে এল বিজয় রূপানির মৃত্যুর ঘটনায়।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চরম ট্র্যাজেডি। লন্ডনগামী যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত (Air India Plane Crash) হয়েছে তা আদতে ভেঙে পড়েছিল একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় একজন বাদে বিমানযাত্রীদের সকলেই মৃত। এদিকে, প্রাণ হারিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) ১০ জনও। যাঁদের মধ্যে চারজন ডাক্তারি পড়ুয়া (Junior Doctors)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর মনে করা হয়েছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের (Boeing Dreamliner) সমস্ত বিমান ‘গ্রাউন্ড’ করার অর্থাৎ বসিয়ে দেওয়ার ভাবনা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আপাতত তেমনটা হচ্ছে না। এই বিষয়ে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ (DGCA)।