দ্য ওয়াল ব্যুরো: বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে কদর্য ও নোংরা গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে (Anubrata Mondal)। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর (জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে ) রুজু করেছে পুলিশ। শনিবারের পর রবিবারও পুলিশের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন কেষ্ট।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) 'ব্র্যান্ড' আখ্যা দিয়ে বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে (Liton Halder) কুকথার ফুলঝুরি। বিতর্কের মাঝে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড বীরভূমের জেলা টিএমসিপি সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ (Bikramjeet Shaw)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রনেতা পুলিশ অফিসারের উদ্দেশে বলেন, "এই আইসি দুর্নীতিগ্রস্ত। বোলপুর থানার আইসি প্রত্যেক বালি মাফিয়া, পাথর মাফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে কাজ করে। এই লিটন হালদার অনুব্রত মণ্ডল নামক ব্র্য়ান্ডকে দমানোর চেষ্টা করছে।" এর পরই সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবারের পর রবিবারও হাজিরা এড়িয়ে গেলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গুরুতর অসুস্থ তিনি, চিকিৎসকদের পরামর্শে আপাতত কয়েকদিন বাড়িতেই বিশ্রামে থাকবেন তিনি। জানিয়েছেন তৃণমূল নেতার আইনজীবী।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: "এই আইসি দুর্নীতিগ্রস্ত। বোলপুর থানার আইসি প্রত্যেক বালি মাফিয়া, পাথর মাফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে কাজ করে। এই লিটন হালদার অনুব্রত মণ্ডল নামক ব্র্য়ান্ডকে দমানোর চেষ্টা করছে।" 'ব্র্যান্ড' অনুব্রত মণ্ডলের দেখানো পথেই পুলিশকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বীরভূম জেলার সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondal) গলা নয়, পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করা অডিওটি আসলে এআই (AI) দিয়ে তৈরি, আর এসবের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। কারসাজির গন্ধ পেলেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা (TMC)।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলিশ অফিসারকে 'কুকথা'। শনিবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নিজে হাজিরা না দিয়ে আইনজীবীদের এসডিপিও (SDPO) অফিসে পাঠিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সময় চেয়ে নেন পুলিশের (POlice) কাছে। পুলিশ একদিন সময়ও দিয়ে দেয়। বলে দেয় রোববার বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে (Birbhum TMC Leader) হাজিরা দিতেই হবে। তাও সকাল ১১টার মধ্যে। কিন্তু সেই ডেডলাইন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও তাঁর দেখা নেই। যদিও অনুব্রতর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই থানায় পৌঁছেছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর বেলা দুটো নাগাদ এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিতে পারেন কেষ্ট।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সকাল ১১টার মধ্যে বোলপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO)-এর অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। কিন্তু তিনি আসেননি। বদলে অফিসে যান তাঁর আইনজীবীরা। তাঁরাই জানিয়েছেন, অনুব্রত অসুস্থ বলে আসতে পারেননি। এরপরই পুলিশের তরফে ফের একবার নোটিস পাঠানো হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader)।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বোলপুরের আইসিকে মোবাইলে অকথ্য গালিগালাজের ঘটনায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে জেলা পুলিশ। শনিবার সকাল ১১টায় বোলপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) এর অফিসে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

সকাল থেকেই এসডিপিও অফিসে পৌঁছে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ঋকি আগরওয়াল। তবে বেলা ১১টার পরও এসডিপিও অফিসে দেখা যায়নি অনুব্রতকে। পরিবর্তে তাঁর হয়ে পাঁচজন আইনজীবী এসডিপিও অফিসে আসেন। কিছু পরেই তাঁরা ফিরেও যান। তবে এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি তাঁরা।

#REL

দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলিশ অফিসারকে অশ্লীল গালিগালাজের ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারের দাবিতে একযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। 

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী সকলেরই বক্তব্য, পুলিশ কর্মীদের মনোবল অক্ষুন্ন রাখতে এবং তাঁদের পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে তৃণমূলের বীরভূমের নেতা অনুব্রতকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। যদিও 'অন্য কথা' শুনিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলিশ কর্তাকে ফোন করে অশ্রাব্য গালাগাল। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আচরণে ক্ষুব্ধ তাঁর দলই। অডিও ভাইরাল হওয়ার পরই বীরভূমের নেতাকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছিল তৃণমূল (TMC)। তিনি অবশ্য অত সময় নেননি। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চিঠি এবং ভিডিও বার্তা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে অনুব্রতর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে দল। নিরাপত্তায় কোপ (Security) পড়েছে তাঁর।