শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

সাদা-কালো বলিউড ছবিতে এক প্রথম সারির নাম গুরু দত্ত। নায়ক ও পরিচালক, দুই রূপেই তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছন। আজ সেই চলচ্চিত্র মহীরুহের শততম জন্মদিন। আজ যখন ভারতীয় চলচ্চিত্র তাঁর শতবর্ষ উদযাপন করছে তখন আমার মতে পাঁচের দশকে চলচ্চিত্র ইতিহাসে শীর্ষবিন্দু তিনিই।

শুভম সেনগুপ্ত

'৫৭ সালে একদিকে সারা ভারত হইহই করছে বিশপ লেফ্রয় রোডের মানিককে নিয়ে। তাঁর 'অপরাজিত' ভেনিসে সোনার সিংহশাবক (গোল্ডেন লায়ন) জয় করেছে। অন্যদিকে, প্রথম অস্কার মনোনয়ন পেয়েছে মেহবুব খানের 'মাদার ইন্ডিয়া'। অথচ সেই উৎসবের উল্টোপিঠে দাঁড়িয়ে এক ৩২ বছরের চুপচাপ পরিচালক তুলে নিলেন ক্যামেরা, আর দেখালেন স্বাধীনতার দশ বছরে বিধ্বস্ত, ক্লান্ত, ক্ষুধার বৈষয়িক ভারে ভারাক্রান্ত এক জাতির মলিন ও বিষন্ন মুখ।

শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শতবর্ষ জন্মদিনে কোনও লেজেন্ডের কথা বলতে বসা মানে শুধুই তাঁর প্রশংসা করা নয়। বরং নিরপেক্ষ ভাবে সেই মানুষটির বিচার করা, তাঁর কাজের উৎকর্ষ মূল্যায়ন করা এবং তাঁর কাজের সংরক্ষণ, আসল শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি হওয়া উচিত। আজ ৯ জুলাই, ২০২৫ সারা দেশ জুড়ে যে মানুষটির ১০০ তম জন্মদিন (100 years Birthday) পালন হচ্ছে তিনি কিংবদন্তি গুরু দত্ত (Guru Dutt)। যাঁর কথা এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা জানে না বললেই চলে। কিন্তু গুরু দত্তের জীবন সফর সিনেমার মতোই বর্ণময়। তেমনই তাঁর বানানো প্রতিটি কালজয়ী ছবি চিরন্তন সম্পদ।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় সিনেমার আকাশে এক অনন্য নক্ষত্রের নাম গুরু দত্ত। জন্মেছিলেন ১৯২৫ সালের ৯ই জুলাই। মাত্র ৩৯ বছরের স্বল্প জীবনে রেখে গিয়েছেন এমন এক অমোঘ ছাপ, যা আজও সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে অম্লান। অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, কোরিওগ্রাফার, চিত্রনাট্যকার — একাধারে এতসব পরিচয়ের ভার বহন করেও ছিলেন এক নিঃশব্দ প্রতিভা।