কাজল বসাক, নদিয়াঃ দীপাবলির (Diwali 2025) রাতে যখন সমগ্র দেশ আলোর উৎসবে মেতে ওঠে, তখন নদিয়ার শান্তিপুরের আগমেশ্বরীতলায় এক ভিন্ন আবহ। তন্ত্রসাধনা ও আধ্যাত্মিকতার চারশো বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখে পূজিতা হন আগমেশ্বরী মা। আজও তান্ত্রিক উপাচারে সম্পন্ন হয় আরাধনা, কিন্তু পশুবলি ছাড়াই। দেবী আগমেশ্বরী যেন শান্তিপুরের সংস্কৃতির প্রাণ, যার আরাধনায় মিশে আছে ইতিহাস,ভক্তি আর মাটির গন্ধ।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজকের যে কালী বা শ্যামা মূর্তি (Ma Kali) দেখা যায়, তা সহস্র বছরের পুরনো নয়। কথিত আছে, ১৬শ শতকে তন্ত্রসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশই প্রথম গৃহস্থদের উপযোগী কালীপ্রতিমার রূপকল্প দেন। তার আগে দেবীর উপাসনা হতো ‘যন্ত্রে’ বা গোপন তান্ত্রিক (Tantra Sadhana) রূপে, যেমন শবশিবা বা গুপ্ত প্রতিমা। পরে তন্ত্রগ্রন্থ, দেবীপুরাণ, দেবীমাহাত্ম্য ও কালিকাপুরাণে দেবীর বিভিন্ন মূর্তির বর্ণনা প্রসারিত হয়। সাধারণভাবে দেবীকে চার হাতযুক্ত, কৃষ্ণবর্ণা (কখনও নীল), উন্মত্ত কেশ, গলায় মুণ্ডমালা ও অসুরের ছিন্নমুণ্ড হাতে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। তিনি মহাদেবের বুকে পদার্পণ করে আদি শক্তি
শক্তির এক অনন্য রূপ তিনি। ভয়াল, রক্তপিপাসু। আবার মাতৃস্নেহময়ী। তিনি কৃষ্ণবর্ণা, চতুর্ভুজা, করালবদনা। সেই তিনিই শরণাগত সন্তানের জন্য আশ্রয়দাত্রী ও অভয়ময়ী। এত বিপরীত ছবি একসঙ্গে ধারণ করেছেন কি আর কোনও ঈশ্বর!
সনাতন ধর্মে কালী (Kali Puja) শুধু এক ঈশ্বরের নাম নয়, বরং গভীর দর্শনের দর্পণও। যেখানে মৃত্যু, সময়, ধ্বংস ও সৃষ্টি এক অভিন্ন শক্তিতে রূপ নেয়। আর সেই শক্তির পরিধি এতই বিস্তৃত, যে তার উপাসনা ঘরোয়া-সর্বজনীন হয়ে উঠতে সময় নেয়নি।
দ্য ওয়াল ব্যুরো:কাঁছে আঁয়, কাঁছে আঁয়, তোঁরাঁ বড় ভাল ছেঁলে, কাঁছে আঁয়, কাঁছে আঁয়। ভূতের রাজাকে দেখে যতই আমোদ মিলুক না কেন, সত্যিই যদি বাঁশবাগানের আড়াল থেকে এরকম ১৪ ভূতের নাচনাচানি দেখতে হয়, তাহলে নিমিষে সব মজা ফুড়ুৎ হয়ে যাবে। ভগবান বিশ্বাসের মতোই মানুষের মধ্যে ভূত, জিন ও ঘোস্ট বিশ্বাস শার্লক হোমসের যুগেও ছিল, রাজকুমার রাওয়ের যুগেও আছে। তাই এখনও দেশের
দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা পরিবেশ আকাদেমির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মহল এবং সাধারণভাবে সকলের কাছে এই আবেদন নিবেদন করে এসেছি যেন দীপাবলি ও কালীপুজো সহ অন্যান্য উৎসবগুলি পালিত হয় কেবলমাত্র প্রদীপ ও মোমবাতির আলোয়। এতো দিনে আমরা সকলেই জেনে গেছি চোখ ঝলসানো আতশবাজি এবং বিশেষ করে শব্দবাজি কী কী ভাবে আমাদের ক্ষতি সাধন করে ।