দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত ১১ জনের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নিল আরসিবি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা ও অন্যান্য সাহায্যের জন্য গড়া হচ্ছে বিশেষ তহবিল।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাল বিকেলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের (Chinnaswami Stadium) ভেতরে যখন দাপিয়ে ডিজে চলছে, গান বাজছে, হুল্লোড় শুরু হয়েছে, আইপিএল বিজয়ী ক্রিকেটাররা যখন ট্রফি হাতে উল্লাস প্রদর্শন করছেন, ঠিক তখনই মাঠের বাইরে ভেসে উঠছে আর্তনাদ।
প্রশাসনিক গাফিলতিতে দলের বিজয় মিছিল দেখতে জমায়েত হাজারো সমর্থকের ঢেউ সুনামি হয়ে আছড়ে পড়ছে স্টেডিয়ামের প্রধান দরজায়! ধাক্কাধাক্কি, হুড়োহুড়ি পেরিয়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা যখন দানা বাঁধল, তখন প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য পুলিশকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা কার্যত দর্শক!
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৪ জুন ছিল বেঙ্গালুরুর জন্য গর্বের দিন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (RCB) জিতেছে তাদের প্রথম আইপিএল ট্রফি। শহরের প্রাণকেন্দ্র চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে আয়োজিত হয় এক বিশাল অনুষ্ঠান, যেখানে অংশ নিতে আসেন হাজার হাজার আরসিবি সমর্থক। কিন্তু খুশির সেই মুহূর্তই নিমেষে পরিণত হয় এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে। অতিরিক্ত ভিড় এবং অব্যবস্থাপনার জেরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১১ জন, আহত হন আরও অনেকে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্থানীয় প্রশাসন ও আরসিবি শিবিরের মধ্যে যে সমন্বয়ের অভাব ছিল, অল্প সময়ে আয়োজনের কোনও সুরাহা না হওয়ার পরেও অনুষ্ঠান ঘোষিত হয়েছে এবং নির্ধারিত সূচি মাঝপথে বাতিল ও পরিবর্তনের জেরে যে ধোঁয়াশা বেড়েছে—পদপিষ্টের (Bengaluru Stampede) আসল কারণ হিসেবে একেই সামনে দাঁড় করিয়েছেন অনেকে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৮ বছরে প্রথমবার আইপিএল জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আনন্দে আত্মহারা বেঙ্গালুরুর সমর্থকেরা। সারা রাত ধরে সে এক বাঁধভাঙা আনন্দ! প্রতিপক্ষ সমর্থকদের ট্রোলের জবাব দেওয়ার রাত যেন! বিরাট কোহলিরা আহমেদাবাদে ট্রফি জিততেই মঙ্গলবার রাত থেকেই সমর্থকেরা উৎসবে মেতে ওঠেন বেঙ্গালুরু শহর জুড়ে। আর বুধবার গোটা শহর সাক্ষী থাকছে সেই বিজয় উদ্যাপনের—ভিক্টরি প্যারেড-এর মধ্য দিয়ে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল একজনের। কেরলের পর এবার বেঙ্গালুরু। ৮৪ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধর কোভিড পজিটিভ আসে পরীক্ষায়। তবে, শরীরে একাধিক অন্যান্য রোগ ছিল বলে জানা গেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বৃদ্ধের শরীরে একাধিক জটিল রোগ ছিল। তাঁকে ১৩ মে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ মে মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং শনিবার সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।