শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

বিকাশ রায়, যাঁকে বাংলা ছবির 'ডার্ক হর্স' বলা হত। চিরাচরিত নায়কোচিত দর্শনধারী না হয়েও তিনি মানুষের মনে ছাপ রেখে যেতেন। তাঁর মতো উচ্চশিক্ষিত অভিনেতা সে সময় খুব কম ছিল অভিনয় জগতে। যে শিক্ষার ছাপ তাঁর ঝকঝকে অভিনয়ে পড়ত। মঞ্চ,বেতার,পর্দা তিন মাধ্যমেই বিকাশ রায় ছিলেন সফল অভিনেতা। তবে অভিনেতার পাশাপাশি বিকাশ রায়ের পরিচালক সত্ত্বাটিও উল্লেখযোগ্য। একাধিক কালজয়ী ছবি তিনি  পরিচালনা করেছিলেন। 'মরুতীর্থ হিংলাজ', ',সূর্যমুখী', 'বসন্ত বাহার', 'কেরি সাহেবের মুন্সি','রাজা সাজা' উল্লেখযোগ্য।

শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বর্ণযুগে শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেতার কথা বললে যাঁর নাম প্রথমেই আসবে তিনি বিকাশ রায়। নায়কের পাশেও উজ্জ্বল তাঁর উপস্থিতি। কখনও ছবির মান দুর্বল হলেও, বিকাশ রায়ের অভিনয়ে খুঁত বার করা যেত না। তবে অভিনেতা বিকাশ রায় আমাদের সকলের চেনা হলেও, পরিচালক বিকাশ রায় আজও বেশিরভাগ দর্শকের কাছে প্রায় অজানা। 'বিকাশ রায় পরিচালক ছিলেন নাকি?' এমন প্রশ্নই আজকের বাঙালি করে বসবে হয়তো? আজ বিকাশ রায়ের জন্মদিনে বলব তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবির গল্প।

শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় 

আজ মৃণাল সেনের ১০২ তম জন্মদিন। তাঁর ছবির কথা উঠলেই এক ঝাঁক অভিনেত্রীর নাম আমাদের মনে আসে। মাধবী, অপর্ণা, মমতা, শ্রীলা থেকে বম্বের স্মিতা, শাবানা, ডিম্পল। কিন্তু মৃণাল সেনের ছবির আলোচনায় চিরকাল ব্রাত্য রয়ে গেছেন তাঁর প্রথম ছবির নায়িকা। শুধু একটা নয়, মৃণাল সেনের তিনটি ছবির নায়িকা তিনি। অথচ পরিচালকের থেকে প্রাপ্য সম্মান এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী কখনও পাননি। তিনি  সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের জন্মদিনের সন্ধ্যেতে দ্য ওয়ালে প্রয়াত পরিচালকের স্মৃতিচারণায় অকপটে মন খুললেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।