মামিনুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ : কলহের জেরে প্রায় দেড় বছর আগে স্বামীর ঘর ছেড়েছেন স্ত্রী। এই দাম্পত্যকলহ একাধিকবার থানা-পুলিশ এবং আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ, শেষ পর্যন্ত কোনও ভাবেই স্ত্রীকে বাগে আনতে দিতে না পেরে এবার তাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে ভোটার তালিকা (Voter List) থেকে নাম বাদ দিয়েছেন বিএলও (BLO) হিসেবে কর্মরত এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে সাগরদিঘি থানার বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পিল্কি গ্রামে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এসআইআর (SIR) নিয়ে গুজরাতেও বিএলও'দের (BLO) উপর শারীরিক ও মানসিক চাপের অভিযোগ উঠল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহদের (Amit Shah) রাজ্যে দু'জন বিএলও-র মৃত্যুতে (BLO Death) পরিবার এসআইআর (SIR) নিয়ে কাজের চাপের অভিযোগ তুলেছে।
এসআইআর (SIR in West Bengal) নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু যেটা দু-বছরে করার কাজ সেটা কেন দু-মাসে করা হচ্ছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বরাহনগরের বিধায়ক (MLA) সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। শনিবার কামারহাটিতে (Karamhati) এসেছিলেন সায়ন্তিকা। সেখানেই তিনি বলেন, "দু- মাসে এই কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি রয়েছে। এতে গরীব মানুষদের বেশি সমস্যা হচ্ছে।"
প্রথমে তো দিদির সরকার বলেছিল SIR করতে দেব না, তারপর সব রাজ্য সরকারি কর্মী/অফিসারদের দিয়ে কমিশনকে (Election Commission) সহযোগিতা করছে কে? প্রশ্ন অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০০২ এর ভোটার তালিকায় নাম নেই। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে যদি বৃদ্ধ ভাতা বন্ধ হয়ে যায়! সেই আতঙ্কে দিন কাটছে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা সূর্যকুমারী দেবনাথের। ১৯৯৫ সালের আগে থেকে তিনি ভোট দিয়েছেন। ১৫-২০ বছর ধরে কালনার শ্যামগঞ্জে বসবাস করছেন। ছেলেমেয়েদের নাম থাকলেও নাম নেই সূর্যকুমারীর।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: SIR এর কাজ খুব ভাল কাজ হচ্ছে বললেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। এদিকে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি তুলেছেন অবিলম্বে SIR স্থগিত করা হোক।
দেশজুড়ে চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের কাজ (SIR)। তারই জেরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধভাবে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিরা হঠাৎই ফিরে যাচ্ছেন নিজের দেশ, দলে দলে। কেউ দু’বছর ধরে, কেউ দশ বছর, কেউ তারও আগে ভারতে এসেছে। এসআইআর (SIR) শুরু হতেই সীমান্তে বাড়ছে ঘরে ফিরতে চাওয়াদের ভিড়।