একটি খেলার মাঠের বিস্তৃত হৃদয় জুড়ে থাকে পরিশ্রম, হতাশা, চোখের জল আর আর হার না মানার এক নৈপুণ্য। যে-হৃদয় সারাদিন দাপিয়ে বেড়ায়। খেলতে ভালোবাসে। এত্ত বড়ো মাঠের বেড়া ভাঙে, ক্রিকেট খেলে।
সর্বকালের সেরা ভারতীয় ক্রিকেটার কে? ক্রিকেট মসনদের ময়ূর সিংহাসনের দাবিদার কে? বিরাট কোহলিকে নিয়ে লিখতে বসে যদি আবেগের বশে তাঁর নামটা বলে ফেলি, তাহলে মুম্বইয়ের সেই অতিমানবকে অসম্মান করা হবে। তাঁর নাম সচিন রমেশ তেন্ডুলকর।
প্রথম স্কুল, প্রথম প্রেম, প্রথম চুম্বন বা প্রথমবার প্রত্যাখ্যান হওয়ার ঘটনা—যাই হোক না কেন জীবনে একটিবারের জন্যেও তাকে ভোলা যায় না। প্রথম সাইকেল চালাতে গিয়ে হাঁটু ছিঁড়ে পড়ে যাওয়ার দাগ মিলিয়ে গেলেও মনের ভিতরে দপদপ করে সারাজীবন।
এই তিনটি মন্ত্রেই শুধু দল নয়, টেস্ট ক্রিকেটের দর্শন বদলে দিয়েছেন বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের অধিনায়ক। ২০২২ সালে টিম যখন ঘরে-বাইরে একের পর এক সিরিজ হারতে হারতে প্রায় কোমায় চলে যায়, তখনই অধিনায়কের কুর্সিতে বসেন বেন স্টোকস। কোচের গদিও যায় বদলে। আসন দখল করেন নিউজিল্যান্ডের একদা মারকুটে ওপেনার ব্রেন্ডন ম্যাকালাম।
সেদিন মহারাজা ভূপিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে বিলাতযাত্রী প্রায় পনেরো জন ক্রিকেটার জানতেন না ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের শুরুয়াত হতে চলেছে। কাহিনিতে কেউ মুখ্য চরিত্র নন—সকলেই নায়ক। পরাধীন দেশ যখন লড়ছে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, সংঘাত চলছে জাতিভেদ-বর্ণভেদ নিয়ে, তখন ‘কালাপানি’ পেরিয়ে শাসক ইংরেজদের ডেরায় গিয়ে চোখে চোখ রেখে খেলে আসার হিম্মত দেখান তাঁরা।