দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর (West Bengal SIR) ঘোষণার সময়ই বিএলও-দের কাজ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যেখানে বলা হয়েছিল, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় (SIR News) সংশোধনের জন্য বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করবেন। পরে তথ্য যাচাই করে সেই ফর্ম ফেরত নেবেন। বলা হয়েছিল এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) বিলি ও জমা দেওয়ার পর্বে কোনও ভোটারকে (Untraceable) খুঁজে না পাওয়া গেলে অন্তত তিন বার বিএলও-দের বাড়ি বাড়ি যেতেই হবে। অথচ এই
এখনও অবধি বাংলায় প্রায় ৯০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশনের (Enumeration Form) কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সেই হিসেবে সোমবার সকাল পর্যন্ত আন-কালেক্টেড ফর্মের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪২ লক্ষ ১০ হাজার ৩৪৬।
এখন ভোটারদের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, এই আন-কালেক্টেবল বলতে ঠিক কাদের কথা বলা হচ্ছে। কমিশন (election Commission) আগেই জানিয়েছিল, যারা মৃত, পাওয়া যায়নি বা অনুপস্থিত, পার্মানেন্টলি শিফটেড অর্থাৎ যাঁরা স্থায়ীভাবে সরে গিয়েছে, আগেই এনরোল করা ছিল বা নাম ছিল এবং অন্যান্যদের মিলিয়ে হল আন-কালেক্টেবল।
প্রায় ৯০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশনের (Enumeration Form) কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সেই হিসেবে সোমবার সকাল দশটা পর্যন্ত আন-কালেক্টেড ফর্মের সংখ্যাটা দাঁড়াল ৪২ লক্ষ ১০ হাজার ৩৪৬। এখানে বোঝার দরকার আছে যে আন-কালেক্টেড বলতে ঠিক কাদের কথা বলা হচ্ছে। কমিশন (Election Commission) আগেই জানিয়েছিল, এই আন-কালেক্টেডদের (Uncollected form) মধ্যে রয়েছে মৃত, পাওয়া যায়নি বা অনুপস্থিত, পার্মানেন্টলি শিফটেড অর্থাৎ যাঁরা স্থায়ীভাবে সরে গিয়েছে, আগেই এনরোল করা ছিল বা নাম ছিল এবং অন্যান্য।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর (SIR West Bengal) ঘিরে বিতর্ক বাড়তেই জেলায় জেলায় অবজার্ভার (Special Observer) পাঠিয়েছে কমিশন। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে সেই স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্ত (Subrata Gupta) হঠাৎই হাজির হন ফলতা বিডিও অফিসে। সেখানেই খতিয়ে দেখেন মৃত ভোটার নিয়ে ওঠা অভিযোগগুলি।
ফলতার বিডিও শানু বক্সীর কথায়, “বিরোধীদের তরফে কয়েকটি এপিক নম্বর (Voter Card Epic Number) তুলে ধরে অভিযোগ করা হয়েছিল— মৃত ভোটারকে জীবিত দেখানো হচ্ছে কি না। আমরা সার্চ করে দেখেছি, সংশ্লিষ্ট নামগুলির পোর্টালে ‘ডেথ মার্কিং’ যথাযথভাবেই হয়েছে।”
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রায় ৯০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশনের (Enumeration Form) কাজ শেষ হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১৮ লক্ষ ৭০ হাজার মৃত ভোটারকে (Dead Voter) চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানান্তরিত ভোটার ও ডুপ্লিকেট ভোটারের (Duplicate Voter) সংখ্যা মিলিয়ে ৩৫ লক্ষ ভোটারের নাম এখনও বাদ গিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, তিন তিনবার করে ভোটারদের বাড়ি যাওয়ার পরও বেশ কিছু জেলায় মৃত, শিফটেড এবং ডুপ্লিকেট ভোটারদের পরিসংখ্যান আপলোড করছেন না বিএলও-রা। যে কারণে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় ভোটার তালিকার (Voter List) নিবিড় সংশোধনের কাজের প্রথম পর্যায় প্রায় শেষের পথে। অর্থাৎ গণনাপত্র বিলি, সংগ্রহ করা ও ডিজিটাইজ করার কাজ। সেই কাজ করতে গিয়েই সামনে আসছে মৃত ভোটরের সংখ্যা (Dead Voter)। শুক্রবার কমিশনের কাছে জমা পড়া সব গণনাপত্র খতিয়ে দেখার পর জানা গিয়েছিল মোট মৃত ভোটারের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ লক্ষের কিছু বেশি। একদিনের মধ্যেই সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে প্রায় তিন লক্ষ।
বাংলায় (SIR in West Bengal) বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএলওরা (BLO) ফর্ম দেওয়া প্রায় শেষ করে এনেছেন। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (SIR) পুরোদমে চলছে। এই প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও ত্রুটিমুক্ত করতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য একজন স্পেশাল রোল অবজার্ভার (Special Roll Observer) নিয়োগ করল। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের (১৯৯০ ব্যাচ) অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুব্রত গুপ্তকে (Subrata Gupta) এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার একটি নির্দেশ জারি হয়েছে। তাতে স্পেশাল রোল অবজার্ভারের দায়িত্ব, ক্ষমতা এবং কাজের পরিসর ও পরিধি বিস্তারিতভাবে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় ভোটার তালিকায় ( Sir Voter List) নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম জমা (Sir Form-Fill-up) দেওয়া যাবে। তারপর বেরোবে খসড়া তালিকা। তবে এখনও পর্যন্ত যা হিসাব তাতে ১৫ লক্ষ ৫৩ হাজার মৃত ভোটারকে (West Bengal SIR dead voters) চিহ্নিত করা গিয়েছে। কমিশন সূত্রে এই পরিসংখ্যান জানা গিয়েছে। তবে জানিয়ে রাখা ভাল, এই পরিসংখ্যান চূড়ান্ত নয়।কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, মৃত ভোটারের (Dead Voter) ফাইনাল নম্বর আরও বেশি হবে। তা ২০ লক্ষ ছাপিয়ে যেতে পারে।