দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘন জঙ্গলের বুক চিরে এক বিকেলের নীরবতা। দূর থেকে ভেসে আসছে ভারী পায়ের শব্দ, মাটির বুকে হালকা কাঁপুনি। মুহূর্তেই স্পষ্ট হয়, জঙ্গলের পথ ধরে এগিয়ে আসছে এক বিশাল হাতির দল। সামনে ছোট ছোট গ্রাম, পথের দু’ধারে আতঙ্কিত মানুষ। কিন্তু এই দিনটা অন্য দিনের মতো ছিল না — আজ ভয় নয়, মানুষের কথায় থামিয়ে দিল বন্যের তাণ্ডব!

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের মধ্য খয়েরবাড়ি (North Bengal) যেন বুধবার গভীর রাতে রণক্ষেত্র। আনন্দ আর ভক্তির পরিবেশ নিমেষে পরিণত হল চিৎকার আর কান্নায়। কালীপুজোর আলো নিভে গেল তিনটি প্রাণের বিদায়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাই মুন্ডা  স্বামী ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে গিয়েছিলেন কাছের বাড়িতে কালীপুজো দেখতে। কোলে দেড় বছরের মেয়ে লক্ষ্মীকে নিয়ে ফেরার পথে, গ্রামের অন্ধকারে হঠাৎই হাজির দাঁতাল এক হাতি(Elephant)! 

#REL

দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক মুহূর্তে ইঞ্জিন থেমে গেল। না, প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়—রেললাইনের (Indian Railway) উপর নেমে এসেছিল প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য। 

রেলপথে ট্রেনের সামনে হেলেদুলে হাঁটছিল একটি ময়ূর (Peacock)। আর তাকে পথ দেওয়ার জন্য মাঝপথেই ট্রেন থামিয়ে দিলেন চালক (Train stopped)। ময়ূরটি নির্বিঘ্নে হেঁটে রেলপথ থেকে সরার পর  ধীরে ধীরে ইঞ্জিনে গতি আনলেন তিনি।

#REL

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বনকর্মীর তৎপরতায় রক্ষা পেল এক বাঁদরছানার জীবন। কেরলের তিরুবনন্তপুরমের জঙ্গলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল শাবকটি। সিপিআর দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলেন বন দফতরের কর্মী অরুণ পি আর। ছোট্ট প্রাণটির জন্য সেই বনকর্মীর উপস্থিতি যেন এক অলৌকিক রক্ষাকবচ হয়ে উঠল।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত বছরের ডিসেম্বরে ওড়়িশা থেকে বাংলার জঙ্গলমহলে হানা দিয়েছিল বাঘিনি জিনাত। টানা ১০ দিন ধরে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগায়ো একাংশ এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছিল সে। খাবারের খোঁজেই বাঘিনির আগমন কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চাও হয়।

বাঘিনি জিনাত একা নয়, ফি-বছরই দলমার হস্তীকূল খাবারের খোঁজে হানা দেয় জঙ্গলমহলের লোকালয়ে। তথৈবচ হাল উত্তরবঙ্গেও। সেখানেও হামেশাই খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হানা দেয় বন্য জন্তুরা। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। বন্য জন্তুদের এই লোকালয়ে হানা ঠেকাতে এবার বড় উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য (Environment for Wild Animals)।