দ্য ওয়াল ব্যুরো: ম্যাঞ্চেস্টারে বীরত্বের নজির দেখিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। পায়ের পাতার হাড় সরে গিয়েছে, চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন, বিশ্রাম অবশ্যই জরুরি—এই অবস্থায় দলের কথা ভেবে সবাইকে হতচকিত করে খোঁড়াতে খোঁড়াতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে নামতে দেখা যায় ভারতের উইকেটকিপারকে।
ক্রিস ওকস (Chris Woaks) যেন তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন। সিরিজ হাতের মুঠোয় করতে হলে ওভালে (Oval Test) ড্র করতেই হত। এদিকে দলের ন’উইকেট পড়ে গিয়েছে। তিনি মাঠে না নামতে ভারত টেস্ট জিতে যাবে, সেই সঙ্গে সিরিজও অমীমাংসিতভাবে শেষ হবে!
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চরিত্র বদলাবে। প্রজন্ম পাল্টাবে। খেলোয়াড় আসবে-যাবে। কিন্তু ড্রেসিং রুমের সংস্কৃতি যেন এমনই থাকে। এই জেতার ইচ্ছে, লড়াইয়ের ঝাঁজ যেন এতটুকু ফিকে না হয়। যেন সবাই এই সংস্কৃতির অংশীদার হতে চায়।
ওভাল টেস্ট জিতে ‘আন্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি’র (Anderson-Tendulkar Trophy) সম্মান আধাআধি বাঁটোয়ারা করে দেশে ফেরার আগে সাজঘরে উপস্থিত ক্রিকেটারদের এমনই ভাষায় উদ্বুদ্ধ করলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir Pep Talk)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৭৬ বছর বয়স। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে তাঁর উন্মাদনা লজ্জায় ফেলে দেবে যে কোনও তরুণকে। ভারতের ব্যর্থতায় তিনি দুঃখ পান, ভুল-ত্রুটি হলে সমালোচনা করতেও ছাড়েন না। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যে তিনি যেন হয়ে ওঠেন এক প্রাণোচ্ছ্বল যুবক। আনন্দে তিনি দেশভক্তির গান গান, নাচও (
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুখে আকর্ণবিস্তৃত হাসি। কিন্তু সেটাই বদলে যায় মাঠে নামলে। গোল গোল চোখ পাকিয়ে হই হই করে হেসে ওঠা উধাও। বিপক্ষ খেলোয়াড়, তা সে যেই হোক না কেন, তাকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নন মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj)। এই আগ্রাসনই টিম ইন্ডিয়ার পেসারকে বাকিদের থেকে আলাদা করে। সারাক্ষণ তেতে থাকেন। কখনও কখনও ফুটে ওঠে ক্রোধ। যে কারণে ইংল্যান্ড শিবির বিশেষ ডাকনাম দিয়েছে: ‘মিস্টার অ্যাংরি’ (Mr. Angry)! এই খবর সিরিজশেষে ফাঁস করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেন (Nasser Hussain)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লড়াইটা মাঠে লড়েছে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশ। কিন্তু একই দিনে মাঠের বাইরে একটা অদৃশ্য যুদ্ধ কোচ গৌতম গম্ভীরের জন্য অপেক্ষা করেছিল! যে যুদ্ধের বাজির নাম ‘কুর্সি’। জিতলে বা ড্র ছিনিয়ে নিয়ে মসনদের অধিকার নিয়ে সওয়াল উঠবে না। কিন্তু দল পরাজিত হলে চেয়ার ছাড়তে হতে পারে!
খেলোয়াড় হিসেবে বারবার এমন জাঁতাকল দেখেছেন। কখনও ভাল খেলেও দলের বাইরে যেতে হয়েছে। বারবার নিজেকে প্রমাণ করে, কখনও ঘরোয়া ক্রিকেটে, কখনও কাউন্টিতে হাত পাকিয়ে জাতীয় দলে ফিরে এসেছেন গৌতম।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘ক্রিকেট আমার প্রথম প্রেম। এর জন্য সবকিছু দিতে রাজি। যখন পারফর্ম করতে পারি না বা দল হারে, খুব কষ্ট পাই। ক্রিকেটকে ভালবাসি। ব্যর্থতা ব্রেক আপের মতো মনে হয়!’
থতমত ইংরেজিতে লাজুক হেসে কথাগুলো যিনি বলছেন, তিনি ৫৩ দিনের ম্যারাথন সফরে পাঁচ টেস্ট মিলিয়ে ১৮৭ ওভার বল করেছেন। নিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট।
আবার তিনিই ছেড়েছেন দুর্ধর্ষ প্রতিপক্ষের সহজ ক্যাচ। ১৯ রানের মাথায়। জীবন ফিরে পেয়ে যে-ব্যাটার সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দল দাঁড়িয়েছে খাদের কিনারায়।