দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: চুঁচুড়ার কাপাসডাঙা লিচুতলার বাসিন্দা, প্রাক্তন সেনাকর্মী শশীকান্ত হালদার। তিন দশক ধরে দেশের সেবায় ছিলেন। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শান্তিসেনার সদস্য হয়ে শ্রীলঙ্কাতেও গিয়েছিলেন। কাজের সূত্রে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে লাদাখ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গেছেন। অবসর নিয়েছেন প্রায় ৩৪ বছর আগে। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন একাধিক নির্বাচনে। সেই প্রাক্তন সেনাকর্মী শশীকান্ত হালদারের নাম বাদ গেল ভোটার তালিকা থেকে। পেলেন না এনুমারেশন ফর্ম।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্মার্টফোনের যুগে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল ফটো স্টুডিও। নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশে আবার ব্যস্ততা ফিরে এসেছে স্টুডিওগুলিতে। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিঢ় সংশোধনের কাজ শুরু হতেই নতুন করে রোজগারের সুযোগ পেয়েছেন স্টুডিও মালিকরা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেশায় স্কুল শিক্ষিকা পারমিতা হালদার। প্রতিদিন স্কুল থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে বাড়ি ফিরে যান। তিনি ঘরে ঢুকলে বাড়ি চলে যান তাঁর পাঁচবছরের ছেলেকে সামলে রাখার লোক। এখন SIR এর কাজ শুরুর পর ঘরে ফেরার সময়ের ঠিক থাকে না। তাই সাড়ে চারটের পর কার কাছে থাকবে বাচ্চা। বাবাকেও যে চাকরির জন্য বাইরে ঘুরতে হয়। অগত্যা! গত কয়েকদিন ধরে বিকেলের পর থেকে পাঁচবছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন পারমিতা। স্থানীয় ভোটাররা অবাক হয়ে দেখছেন তাঁকে।
দেবাশিস গুছাইত, হাওড়া: কাঁধে ব্যাগ, একহাতে ফর্ম। অন্য হাতে ধরা পাঁচ বছরের সন্তানের হাত। প্রতি বিকেলেই দেখা যাচ্ছে তাঁকে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করে চলেছেন শিবপুরের স্কুলশিক্ষিকা পারমিতা হালদার। মাতৃত্ব ও কর্তব্য— এই দুইয়ের ভারসাম্যে নজির গড়ছেন তিনি।
খড়দহ পুরসভার পাঁচবারের কাউন্সিলর তাপস দাশগুপ্ত। এখন অবশ্য তিনি প্রাক্তন। ২০০২ এর ভোটার তালিকায় নাম নেই তাঁর ও তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের। বিষয়টা কীভাবে হল, তা বুঝতে পারছেন না তিনি। কারণ ওই সময় কাউন্সিলরের পদপ্রার্থী হয়ে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ঘটনা ঘিরে আলোড়ন খড়দহে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, তিনি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করবেন না। কেন এ কথা বললেন মমতা? এর বৃহৎ রাজনৈতিক অর্থ বা বার্তা কী?
কোচবিহার, রিয়া দাস: এসআইআর প্রক্রিয়ার প্রথম দিনেই জটিলতা দেখা দিল সাবেক ছিটমহল এলাকায়। পোয়াতুর কুঠি সহ একাধিক প্রাক্তন ছিট মহলের বাসিন্দারা বিএলওদের দেওয়া এসআইআর ফর্ম নিতে চাননি। তাঁদের দাবি, ফর্মে ২০০২ সালের তথ্য চাওয়া হয়েছে, অথচ তারা ২০১৫ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর (SIR In West Bengal)। এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form West Bengal) নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন বিএলওরা (BLO)। নির্বাচন কমিশনের (Election Commision) নির্দেশ অমান্য করে চণ্ডীতলায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক ও অঙ্গনওয়ারি কর্মীদের বিএলও করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির (BJP)।