প্রতীতি ঘোষ, ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুর লোকসভায় এসআইআর-এর কাজ শুরুর পর থেকে তথ্য সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি, তথ্য যাচাই—সব মিলিয়ে কাজের চাপ তুঙ্গে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যজুড়ে চলা এসআইআর (SIR in West Bengal) প্রক্রিয়ার কাজ যে সব জায়গায় এক গতিতে হচ্ছে না তা বুধবারই সামনে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের (ECI) সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৮৮.০৮ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) বিলি করা হয়েছে। বৃহৎ রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলার (West Bengal) হার সর্বোচ্চ। যদিও রাজ্যের প্রায় ৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রে এনুমারেশন ফর্ম বিলির হার এখনও ৭৫ শতাংশের নীচে! এই ইস্যুতে বুধবার রাতেই ইআরওদের (ERO) সঙ্গে বৈঠক করে সিইও মনোজ আগরওয়াল (CEO Manoj Agarwal)। এরপরই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশের কথা জানা গেছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আপনি বাড়িতে না থাকলে এসআইআর ফর্ম ফিলাপ করবেন কীভাবে? বিএলও কি আপনার সময়মতো আপনার বাড়িতে আসবে? বিএলও কি আপনাকে ফর্ম ফিলাপ করতে সাহায্য করবেন? জানুন এই ভিডিওতে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে (West Bengal) এসআইআরের (SIR) এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) বিলি শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই ফর্ম দিচ্ছেন বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা (BLO)। কমিশনের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ কোটি ফর্ম বিলি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও বহু মানুষের মধ্যে সংশয় রয়েছে বিএলও-দের নিয়ে। কারা এই বিএলও, যারা বাড়িতে আসবেন তারা 'আসল' বিএলও কিনা - এইসব প্রশ্ন রয়েই গেছে। তবে কমিশনের (ECI) তরফে সব তথ্য পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেশায় স্কুল শিক্ষিকা পারমিতা হালদার। প্রতিদিন স্কুল থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে বাড়ি ফিরে যান। তিনি ঘরে ঢুকলে বাড়ি চলে যান তাঁর পাঁচবছরের ছেলেকে সামলে রাখার লোক। এখন SIR এর কাজ শুরুর পর ঘরে ফেরার সময়ের ঠিক থাকে না। তাই সাড়ে চারটের পর কার কাছে থাকবে বাচ্চা। বাবাকেও যে চাকরির জন্য বাইরে ঘুরতে হয়। অগত্যা! গত কয়েকদিন ধরে বিকেলের পর থেকে পাঁচবছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন পারমিতা। স্থানীয় ভোটাররা অবাক হয়ে দেখছেন তাঁকে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এনুমারেশন ফর্ম বিলি (SIR) করতে গিয়ে প্রাণ গেল এক বিএলও-র (BLO Death)। পেশায় তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কাজের অতিরিক্ত চাপে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় নমিতা হাঁসদা (৫১)-র। তিনি মেমারির বোহার–২ পঞ্চায়েতের চক বলরাম গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছিলেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যেজুড়ে (West Bengal) ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া ঘিরে ফের বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) অভিযোগ করেছে, আত্মীয়ের তথ্য (Relative Information) সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ECI) বক্তব্য ও বিএলও-দের (BLO) কাছে থাকা নির্দেশ নিয়ে অসঙ্গতি তৈরি হয়েছে এবং তাতে বিপাকে পড়েছেন বুথ লেভেল অফিসাররা (BLOs)। রাজ্যের একাধিক জেলায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে ডেটা এন্ট্রির কাজ। এই নিয়ে তাঁরা কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এসআইআর (SIR) নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে কমিশনের থেকে রিপোর্টও চেয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। এদিকে বাংলায় এসআইআর (SIR in West Bengal) আবহেই কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইন (CAA)-এ আবেদন শুরু হয়েছে। কিন্তু যাঁরা সিএএ-তে আবেদন করছেন, তাঁরা কি চলতি সংশোধন প্রক্রিয়ায় নাম তুলতে পারবেন? এই প্রশ্ন নিয়েই নয়া আবেদন পৌঁছেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশ জুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ঘোষণা অনুযায়ী, বাড়ি বাড়ি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুথ স্তরের অফিসারেরা (বিএলও) এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে আসছেন। ফর্ম ফিলআপে সহায়তা করছেন। পরে সময় করে সংশ্লিষ্ট বিএলও-ই ভোটারদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে কমিশনে পাঠাবেন। এমনই এক বিএলও ফর্ম বিলি করতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন। ভোটারের বাড়ির কুকুর তেড়ে এসে ঘ্যাক করে কামড়ে দিলেন ওই মহিলা বিএলওর (BLO) মুখে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যজুড়ে (West Bengal) চলা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া (SIR) নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিএলওদের (Booth Level Officer) উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করা হচ্ছে।