গতকাল ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের দিনেই প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী জয়শ্রী দাশগুপ্ত। মডার্ন হাই স্কুলে বিখ্যাত অভিনেত্রী অপর্ণা সেনের সহপাঠী ছিলেন জয়শ্রী। দু'জনের বন্ধুত্ব ছোট্টবেলা থেকে শেষদিন অবধি অব্যাহত থাকল। সত্যি তাঁরা হাত ধরেছিলেন চিরদিন বন্ধু হয়ে থাকবেন বলেই। রবীন্দ্রনাথের গানে জয়শ্রীর দখল শুরু থেকেই ছিল। প্রাণের বন্ধু রিনার হাত ধরেই জয়শ্রী লাইম লাইটে চলে আসেন ২০০০ সালে। অপর্ণা সেনের 'পারমিতার একদিন' ছবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'হৃদয় আমার প্রকাশ হল' গানটিকে শুধুমাত্র একটি তানপুরা সহযোগে গেয়ে, জয়শ্রী দাশগ
সত্তর দশকে যৌবন সরসী রূপ নিয়ে রুপোলি পর্দায় আগমন হয় এক নায়িকার, তিনি ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ মিঠু মুখার্জী। যার রূপে দেহসৌষ্ঠবে ছিল অটুট যৌন আকর্ষণ আবার দেবী মুখের মিশেল। দীনেন গুপ্তর ছবি ‘মর্জিনা আবদাল্লা’-তে মিশরীয় লাস্যে মর্জিনা করে সারা বাংলায় প্রথম সারির নায়িকাতে চলে আসেন মিঠু। এরপর 'মৌচাক', 'চাঁদের কাছাকাছি', 'হোটেল স্নো ফক্স', 'আশ্রিতা' প্রায় প্রতিটি ছবিতেই তুমুল জনপ্রিয়তা পান মিঠু মুখোপাধ্যায়। কিন্তু বহুকাল লোকচক্ষুর আড়ালে তিনি। কেমন আছেন মিঠু?
বৃষ্টিস্নাত বিকেলে খবর এল বাংলা সাহিত্যের নবতিপর সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় পাড়ি দিয়েছেন অমৃতলোকে। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী যুগে প্রফুল্ল রায় সেই পরিচালক যাঁর কাহিনি নিয়ে সবথেকে বেশি বাংলা চলচ্চিত্র হয়েছে। সিরিয়ালেও হিট তাঁর লেখা 'কেয়া পাতার নৌকো'। প্রফুল্ল রায়ের কাহিনি নিয়ে 'দেশ' ছবি বানিয়েছিলেন রাজা সেন।
এক সময় বাঙালিদের সারা সপ্তাহের বিনোদন বলতে ছিল রোববারের বাংলা ছবি। 'আহ্বান', 'অগ্নীশ্বর', 'মৌচাক', 'ধন্যি মেয়ে', 'পিতাপুত্র'- এইসব ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে যেত দর্শক। ছবির পরিচালক হলেন অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। স্টুডিও পাড়ায় যিনি 'ঢুলুদা' নামেই জনপ্রিয় ছিলেন। আজ সেই লেজেন্ডারি পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ১৯১৯ সালের এই দিনেই জন্মেছিলেন তিনি। ঢুলুবাবু বলতেন 'আমার ছবি দেখে অশিক্ষিতরাও শিক্ষিত হয়ে সিনেমা হল থেকে বেরোবে।'
কেউই তাঁকে বুঝতে পারেনি। হয়তো বা বুঝতে চায়নি কেউ। এই ভুল বোঝার বোঝা বইতে বইতে তিনি নিজেই চলে গিয়েছিলেন অকালে। আংটি চাটুজ্জ্যের ভাই, বসন্ত ভবঘুরে, বাউন্ডুলে- নায়ক হওয়ার কোনও গুণ তাঁর নেই। না কন্দর্পকান্তি রূপ, না দীর্ঘ উচ্চতর চেহারা। থাকবার মধ্যে আছে শুধু একটি হৃদয়। সেই হৃদয়বান মানুষটির নাম অনুপ কুমার দাস। পর্দার বাইরেও তিনি বাস্তব জীবনে ছিলেন প্রকৃত পরোপকারী মানুষ। সংসার থেকে সমাজে, অনুপ কুমারের পরোপকারের অজস্র ঘটনা ছড়িয়ে আছে। কেউ মনে রেখেছে, কেউ মনে রাখেনি।
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনেই মহাতীর্থ কালীঘাটে হয় সতী অঙ্গের স্নান উৎসব। দেবী সতীর মাহাত্ম্য ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই সতীপীঠ কালীঘাটের সঙ্গে। সেই কাহিনি নিয়ে ১৯৫৪ সালে মানু সেন বানিয়েছিলেন 'সতীর দেহত্যাগ' ছবি। পরবর্তী কালে ১৯৮০ সালে একই কাহিনি নিয়ে 'দক্ষ যজ্ঞ' ছবিও হয়েছিল।
মঞ্চ ও চলচ্চিত্র দু জায়গাতেই তিনি ছিলেন নটসম্রাট। ৬২ বছরের জীবনে বাংলা ছবি ও পেশাদার রঙ্গমঞ্চকে পৌঁছে দিয়েছিলেন আধুনিকতার আঙিনায়। তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা ছবি বিশ্বাস। সেকালের থিয়েটার-ভক্তরা বলেন, অহীন্দ্র চৌধুরী-শিশিরকুমার ভাদুড়ীর পর বাংলার মঞ্চে ছিল ছবি বিশ্বাস যুগ। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুই পুরুষ’, মনোজ বসুর কাহিনি নিয়ে ‘ডাকবাংলো’, দেবনারায়ণ গুপ্ত-র ‘শ্রেয়সী’, ‘ঝিন্দের বন্দী’ প্রতিটি ঐতিহাসিক নাটকে ছবি বিশ্বাসের অভিনয় স্মরণীয়। সেসব ঝড়তোলা নাটকের কোনও সংরক্ষণ হয়নি বলে আজকের দর্শক সেই যুগের মাহাত্ম্য বুঝবে না। কিন্তু চলচ্
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঙালির ম্যাটিনি আইডল উত্তমকুমার জীবনের শেষ শট দিয়েছিলেন 'ওগো বধূ সুন্দরী' ছবিতে। ১৯৮০ র ২৪ শে জুলাই উত্তমকুমারের মৃত্যুতে সারা বাংলার মানুষ চোখের জলে ভাসিয়ে দিয়েছিল। তারপরের বছর ১৯৮১তে রিলিজ করে উত্তমকুমার, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় ও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবি 'ওগো বধূ সুন্দরী'। মৃত্যুর পর মহানায়ককে দেখতে দর্শকের ঢল নেমেছিল বাংলার প্রতিটি সিনেমাহলে। তবে দীপঙ্কর দে একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন 'শেষ ছবিতে উত্তমদার অভিনয় খুব খারাপ, 'ওগো বধূ সুন্দরী' হিট করেছিল সিমপ্যাথেটিক গ্রাউন্ডে।'